সাতটি তালা খুলে ১১ লক্ষ টাকা চুরি : চাঞ্চল‍্য এলাকাজুড়ে

9th February 2021 8:17 pm বর্ধমান
সাতটি তালা খুলে ১১ লক্ষ টাকা চুরি : চাঞ্চল‍্য এলাকাজুড়ে


আমিরুল ইসলাম ( ভাতার ) :  ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামে অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটলো এক বিধবা মহিলার বাড়িতে । রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। মুরাতিপুর গ্রামের মিলিক পাড়ার বাসিন্দা চাঁদনেহার খাতুন। তিনি ছোট মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য জমি বিক্রয় করেছিলেন। তার বাড়িতে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রাখা ছিল সোনার গহনা বানাবেন বলে। তিনি তার দিদির মেয়ের বিয়েতে চলে যান বর্ধমানের নেরোদিঘিতে, গত শনিবার। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফেরেন।
বাড়ি ফিরে তিনি যখন ঘরের চাবি খুলেন তখন দেখতে পান তার অন্যান্য ঘরের চাবি বারান্দার ফ্রিজের মাথায় রয়েছে। তিনি হতভম্ব হয়ে যান। আশ্চর্যের বিষয় এই সমস্ত চাবি তিনি আরেকটি বাড়ির আলমারিতে রেখে ছিলেন। কিন্তু সেই বাড়ির তালা না ভেঙ্গে কিভাবে চাবি গুলি ফ্রিজের মাথায় এলো তিনি অবাক হয়ে যান।এরপর তড়িঘড়ি তিনি যেখানে টাকা রেখেছিলেন অর্থাৎ বাক্সের  মধ্যে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। দু'জায়গায় তিনি টাকাগুলি রেখেছিলেন এক জায়গায় ১১ লক্ষ টাকা আরেক জায়গায় আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু আড়াই লক্ষ টাকা তিনি পেলেও ১১ লক্ষ টাকার কোন হদীস পাননি। পাশাপাশি অন্য আলমারি থেকে তার ছোট মেয়ের প্রায় ১ ভরি সোনার গহনা হাতায় দুষ্কৃতীরা। তিনি লিখিত অভিযোগ জানান ভাতার থানায়। বাড়ির মোট সাতটি চাবি খুলে ওই ১১ লক্ষ টাকা চুরি গেছে বলে দাবি ওই বিধবা মহিলা চাঁদনেহার খাতুনের। অপরদিকে চাঁদনেহার খাতুনের ছেলে মির্জা তৌশিফ আহমেদের দাবি, খুব কাছের লোক এই টাকা নিয়েছে। আমরা বাড়িতে ছিলাম না সেই সুযোগ নিয়েছে। আমার প্রশাসনের কাছে দাবি দোষীদের চিহ্নিত করে কঠিন সাজা দেয়া হোক। পুলিশ সূত্রে খবর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত শুরু হয়েছে।।এই অভিনব কায়দায় যে ১১ লক্ষ টাকা চুরি গেল এ বিষয়ে খবর ছড়াতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামে।
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।